Not known Details About সমাস কাকে বলে

সংজ্ঞা- ‘কর্মধারয়’ শব্দের অর্থ হল ‘কর্ম’ বা ‘বৃত্তি’ ধারণকারী।  কর্মধারয় সমাসে পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায়। মূলত, এই সমাসে বিশেষণ বা বিশেষণ ভাবাপন্ন পদ পূর্বপদ ও বিশেষ্য বা বিশেষ্য ভাবাপন্ন পদ পরপদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আর ব্যাসবাক্যটিতে ঐ বিশেষ্য বা বিশেষ্য ভাবাপন্ন পদটি সম্পর্কে কিছু বলা হয়। অর্থাৎ পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায়।

এই সমাসে পূর্বপদের অপাদান কারকের বিভক্তি (‘এ’, ‘তে’ ) / অনুসর্গ ( ‘হইতে’, ‘থেকে’, ‘চেয়ে’ ) লোপ পায় read more

ব্যাপ্তি অর্থে : বাল্য হতে – আবাল্য, আদি হতে অন্ত – আদ্যন্ত।

১। সন্ধি হয় বর্ণের সঙ্গে বর্ণের মিলনে। সমাস হয় পদের সঙ্গে পদের মিলনে।  

ধর্মের(আদর্শের) উদ্দেশে ঘট স্থাপন পূর্বক যে আন্দোলন= ধর্মঘট

পূর্বপদ ও পরপদ : সমাসযুক্ত পদের প্রথম অংশ-কে পূর্বপদ এবং পরবর্তী অংশ-কে উত্তরপদ বা পরপদ বলে।

এখানে বিশেষ্য ও বিশেষণ পদ পূর্বপদ – পরপদ রূপে বসে একই ব্যক্তি / বস্তু কে প্রকাশ করে

ঔপনিবেশিক ভারতে অবশিল্পায়নের কারণ এবং ফলাফল ব্যাখ্যা করো।

সমাস হচ্ছে দুই বা ততোধিক পদের একপদীকরণ। যেমনঃ সু (শোভন) ব্রত যাহার = সুব্রত।

ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস : পূর্বপদে ষষ্ঠী বিভক্তির (র, এর) লোপ পায়। যথা- চায়ের বাগান = চাবাগান, রাজার পুত্র = রাজপুত্র, বিশ্ব বিদ্যার আলয় = বিশ্ববিদ্যালয়, পুষ্পের সে․রভ = পুষ্পসৌরভ।

এই ক্ষেত্রে সমস্যমান পদ দুটির যে কোনো একটির বিভক্তি লোপ হয় না।

তদ্ধিতার্থে, উত্তরপদ পরে ও সমাহার বুঝালে সংখ্যাবাচক শব্দ পূর্বে থেকে যে সমাস হয়, তাকে দ্বিগু সমাস বলে।

কর্মধারয় সমাস: যেখানে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সঙ্গে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থ প্রধান থাকে তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন: যিনি দাদা তিনি সাহেব= দাদা-সাহেব; মহান যে নবী = মহানবী; সিংহ চিহ্নিত আসন= সিংহাসন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *